সেল বাড়াতে প্রমোশনাল অফার, কুপন ও ডিসকাউন্ট বহুল চর্চিত একটি পদ্ধতি। এসব পদ্ধতির বাস্তবিক কার্যকারিতা ইতিমধ্যে প্রমানিত। বহু যুগ ধরে ব্যবসায়িরা কুপন,অফার,ডিসকাউন্টের সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে আসছেন। ব্যবসার ঝিমিয়ে পড়া বিক্রীর হার চাঙ্গা করতে এগুলো বেশ কাজে দেয়। এসব উদ্যেগ কাস্টমার লওয়ালটি বৃদ্ধি করে,কাস্টমার অ্যাকুইজিশন বৃদ্ধি করে, কনভার্শন রেইট বাড়িয়ে তোলে ,স্টক দ্রুত কমিয়ে আনে এবং সেলস টার্গেট পূরণ করে। আজকে আপনার সেল বাড়াতে কিছু কার্যকরী টিপস্‌ নিয়ে আমি কবির হোসেন কিছু টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি।

সেল বাড়াতে কিছু কার্যকরী টিপস্‌ - Kabir Hossain
সেল বাড়াতে কিছু কার্যকরী টিপস্‌ – Kabir Hossain

চলুন বিভিন্ন ধরনের অফার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা আপনার সেল বাড়াতে উপকারী ভূমিকা পালন করবেঃ

১) পার্সেন্টেজ বেজড ডিসকাউন্ট |  ২) এমাউন্ট ভ্যালু ডিসকাউন্ট |  ৩) ফ্রী শিপিং | ৪) ফ্রী গিফট |  ৫) অটোমেটিক ডিসকাউন্ট | ৬) কুপন কোড

পার্সেন্টেজ বেজড ডিসকাউন্ট

কোন একটি প্রোডাক্টের ওপরে যখন শতকরা হারে মূল্য ছাড় দেওয়া হয় যেমন, সেটি হতে পারে ৫% বা ১০% ডিসকাউন্ট ইত্যাদি কে পার্সেন্টেজ বেজড ডিসকাউন্ট বলে। পার্সেন্টেজ বেজড ডিসকাউন্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরি কালেকশন বা প্রোডাক্ট অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব। এ ধরনের ডিসকাউন্ট অনেকটা এরকম হয়ঃ Buy 2 shirt get 50% off any dress

এমাউন্ট ভ্যালু

ডিসকাউন্ট সাধারণত একটি নির্ধারিত এমাউন্টের কেনাকাটার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের মূল্য ছাড় দেওয়া হয়। সেটি ৫০ টাকা ১০০ টাকা অথবা ২০০ টাকা ইত্যাদি। এই ধরনের ডিসকাউন্টকে এমাউন্ট ভ্যালু ডিসকাউন্ট বলে। আপনি চাইলে একটি নির্ধারিত পরিমাণ মূল্য ছাড় দিতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটার উপরে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য ছাড় দিতে পারেন। তবে যদি আপনার প্রোডাক্টের মূল্যমান বেশি হয়ে থাকে তবে এমাউন্ট ভ্যালু ডিসকাউন্ট আপনার জন্য সুবিধাজনক।

ফ্রী শিপিং

কেনাকাটা পরবর্তী সময়ে অনেকের কাছেই শিপিং চার্জ কিছুটা বেশি মনে হয়। এক্ষেত্রে আপনি শপিং কার্ট ছেড়ে যাওয়া ঠেকাতে ফ্রী শিপিং অফার করতে পারেন। একজন ক্রেতা, বিশেষ করে অনলাইন ক্রেতা সবসময় চান, একটা ভালো প্রোডাক্ট সঠিক ভাবে ও সঠিক অবস্থায় নিজের হাতে পেতে। যখনই, প্রোডাক্ট এর সাথে শিপিং চার্জ ও শিপিং টাইম এর কথা উল্লেখ করা থাকে, অনেকেই সেখান থেকে প্রোডাক্ট টি ক্রয় করেন না। কারণ তারা এটা বার্তি ঝামেলা হিসেবে মনে করে।

ফ্রী শিপিং এর মূল বিষয় হচ্ছে, যারা মনে করেন প্রোডাক্ট ডেলিভারি খরচ তার কাছে অতিরিক্ত তাদের এই চিন্তাকে কিছুটা হল প্রভাবমুক্ত রাখা। তাই ফ্রি শিপিং ও ফাস্ট শিপিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফ্রী গিফট

একটি মিনিমাম পরিমাণ কেনাকাটা করলেই কাস্টমার ফ্রী গিফট পাচ্ছে বিষয়টি দারুন।  এক্ষেত্রে অনেক কাস্টমার একটি ফ্রি গিফট পাবার জন্য সেই মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট কেনাকাটা সম্পন্ন করে। যেমন টা বাংলাদেশের কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের সেলিং রেট বাড়ানোর জন্য করে থাকে। ঊদাহরণ হিসেবে দারাজ, প্রিয় শপ, টেকশপ ও রকমারির কথা বলা যায়।

যদি প্রশ্ন হয়, Actually How to increase your Sells? তবে এটার একটি কার্যকর উত্তর হলো, ইউজার বা বায়ার কে একটা থার্সোল্ড (Thershold) দেয়া। মানে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের জিনিস আপনার শপ থেকে কেনা হলে সাথে থাকছে ফ্রি গিফটস ও ভাউচার।

অটোমেটিক ডিসকাউন্ট

বর্তমান সময়ে বিষয়টি দারুন। কাস্টমার যত বেশি কেনাকাটা করছে সে তত বেশি ডিসকাউন্ট উপভোগ করছে।  বিভিন্ন সময়ে খেয়াল করে দেখা গেছে একজন কাস্টমার ডিসকাউন্ট কোড হারিয়ে ফেলে অথবা সেটি ব্যবহার করতে ভুলে যায়। কিন্তু সে যখন অটোমেটিকভাবে কেনাকাটার উপরে ডিসকাউন্ট পাচ্ছে  বা সিস্টেম ডিসকাউন্ট পাবার পরিমাণ অটোমেটিকভাবে নির্ধারণ করে দিচ্ছে সেক্ষেত্রে কাস্টমার কেনাকাটা করতে বেশি উৎসাহিত হয়।কাস্টমার নিজে থেকে কোন ডিসকাউন্ট কোড ব্যবহার না করেই অটোমেটিক ডিস্কাউন্ট পাচ্ছে। তাই এটি তার কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে।

কুপন কোড

এই কোড নির্দিষ্ট কাস্টমার অথবা গ্রুপ অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব এবং শুধুমাত্র এই কোড ব্যবহারকারী ডিসকাউন্ট পাবেন তিনি ছাড়া অন্য কেউ ডিসকাউন্টের সুবিধাভোগী হবেন না। অফার প্রয়োগ পদ্ধতি শুধু অফার ছাড়লেই বিক্রী বাড়বে- বিষয়টি এমন নয়। সঠিক সময়ে সঠিক অফার ছাড়ার  সিদ্ধান্ত ও কার্যকরিতাই বিক্রীর হার বাড়াতে সক্ষম। এখানে বিভিন্ন অফারের প্রেক্ষিত উল্লেখ করা হলো।

১)  সাপ্তাহিক বা মাসিক ডিসকাউন্ট

২)  প্রি লঞ্চ অফার

৩)  ছুটির দিন বা সিজনাল অফার

৪)  এবন্ডেন্ড কার্ট অফার

৫)  ইমেইল বা নিউজলেটার সাবস্ক্রিপশন অফার

৬)  সোশ্যাল মিডিয়া লাইক এবং শেয়ারের উপরে মূল্য ছাড়

৭)  রেফারেল প্রমো কোড

৮)  ফাস্ট টাইম অফার

৯)  মিনিমাম পারচেস ডিসকাউন্ট

১০) এক্সক্লুসিভ সোশ্যাল অফার

১১) কাস্টমার লয়া